দুই আকারের ছবি-গ্রাহক কোষ আছে, রডের মতো ও শঙ্কু আকৃতির। তাদের বাহ্যিক চেহারার জন্যই এমন নামে ডাকা হয়। রেটিনা জুড়ে তারা সুষমভাবে বিন্যস্ত নয়। রডগুলি কেন্দ্রে তেমন একটা নেই, যত প্রান্তের দিকে যাওয়া যায় তত এদের সংখ্যা বাড়ে। অন্য দিকে শঙ্কুগুলো প্রান্তে দেখা যায় না, এদের বেশির ভাগই কেন্দ্রে রয়েছে। অন্য কথায়, শঙ্কু-প্রধান কেন্দ্রকে ঘিরে রয়েছে রড-প্রধান প্রান্ত।
রড কোষগুলি কম আলোয় সাড়া দেয়, শঙ্কুরা বেশি আলোয়। তাই রাতের দৃশ্য বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রডদের মাধ্যমে দেখা যায় এবং দিনের দৃশ্য শঙ্কুদের মাধ্যমে। সব রঙে রড এবং শঙ্কু সমান ভাবে সাড়া দেয় না। নীল রঙে অল্প সাড়া দেওয়া বাদ দিলে রড কোষগুলো রঙ দেখতে পায় না। অন্য দিকে শঙ্কুরা রঙে সাড়া দেয়। ঘটনা হল, আমরা তাদের তিন ভাগে ভাগ করতে পারি। দেখার যোগ্য বর্ণালীর ক্ষেত্রে তারা লাল, সবুজ ও নীল -- এই তিনটি অঞ্চলে বিভক্ত। রেটিনার বিভিন্ন স্থানে অসম ভাবে ছড়িয়ে থাকা রড ও শঙ্কু কোষগুলি এক সঙ্গে সাড়া দিলে কিছু অদ্ভুত বিভ্রমের সৃষ্টি হয়ে থাকে।
কোনও সংকেত পাওয়ার পর ছবি-গ্রাহক কিছুক্ষণের জন্য ‘মৃত’ অবস্থায় থাকে। অন্য কথায়, এটি ক্লান্ত থাকে। এর ফলে দৃশ্যের তীব্রতা ও রঙ ভুল ভাবে ধরা পড়ে। এই ক্লান্তির ফলে যে সমস্যা হয়, তা আমরা সকলেই খুব ভালো জানি, অন্য কথায়, এটি ক্লান্ত থাকে। এর ফলে দৃশ্যের তীব্রতা ও রঙ ভুল ভাবে ধরা পড়ে। এই ক্লান্তির ফলে যে সমস্যা হয়, তা আমরা সকলেই খুব ভালো জানি, সূর্যালোকের মধ্য থেকে কোনও অন্ধকার ঘরে ঢুকলে তাকে বেশি অন্ধকার লাগে। উজ্জ্বল আলোয় রেটিনা ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং সেটি ঘরের মধ্যেকার আলো গ্রহণ করতে পারে না। কিছু পরে ছবি-গ্রাহক নিজের রূপ ধারণ করে এবং আলো গ্রহণের জন্য প্রস্তুত হয়ে ওঠে।
উৎস : পোর্টাল কন্টেন্ট দল
সর্বশেষ সংশোধন করা : 8/24/2019