রূপায়ণ, নজরদারি ও মূল্যায়ন

রাজ্য সরকার মহিলা সমখ্যা (এমএস) সমিতি এবং সর্ব শিক্ষা অভিযান সমিতির মাধ্যমে এই প্রকল্প রূপায়ণ করছে। সর্ব শিক্ষা অভিযানের ধাঁচেই এই প্রকল্পের টাকা দেওয়া হচ্ছে সর্ব শিক্ষা অভিযান সমিতির কাছে। এই প্রকল্পের তদারকি ও মূল্যায়ন রাজ্য স্তরে ও জেলা স্তরে মহিলা সমখ্যার রিসোর্স সেন্টার করে থাকে। যে সব রাজ্যে মহিলা সমখ্যা নেই, সেখানে সর্ব শিক্ষা অভিযানে প্রাথমিক স্তরে মেয়েদের শিক্ষার জন্য যে জাতীয় কর্মসূচি রয়েছে, সেই কর্মসূচি অনুসারে গঠিত কমিটি এই দায়িত্ব পালন করে।

শিক্ষা প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত জেলা স্তরের প্রতিষ্ঠানগুলি, ব্লক মানবসম্পদ কেন্দ্র ও মহিলা সমখ্যা রিসোর্স গ্রুপ আবাসিক স্কুলের গোষ্ঠী শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের প্রশিক্ষণের বিষয়টি দেখে।

রাজ্য সরকারের সাহায্যকারী সংস্থা

এনপিইজিইএল দ্বারা স্বীকৃত রাজ্য স্তরের সমন্বয়কারী কমিটি পুরো প্রকল্পটিকে পরিচালনা এবং সাহায্য করেন। এই গোষ্ঠীতে রাজ্য সরকারের দফতরগুলির প্রতিনিধি, কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিনিধি, নারী শিক্ষা বিশেষজ্ঞ ও শিক্ষাবিদরা থাকেন। স্কুলের মডেল কী হবে এবং কোথায় স্কুলটি হবে, সে বিষয়ে এনপিইজিইএল কার্যকরীকরণের জন্য তৈরি জেলাস্তরের কমিটির সুপারিশ ক্রমে এই কমিটিই সিদ্ধান্ত নেয়।

জাতীয়স্তরে সাহায্যকারী সংস্থা

জাতীয় স্তরে মহিলা সমখ্যা কর্মসূচির অধীনে তৈরি ন্যাশনাল রিসোর্স গ্রুপ (এনআরজি), জাতীয় স্তরে এই কর্মসূচির ধারণাগত দিকগুলি, সমস্যা , শিশুকন্যার শিক্ষা সংক্রান্ত নীতিগত দিকগুলির বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে সাহায্য করে। এই গোষ্ঠীটি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলি, নারী আন্দোলন, শিক্ষাবিদ এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে সম্পর্ক রাখে এবং নারী শিক্ষার বিষয়ে অন্যান্য অভিজ্ঞ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলিকে এই কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত করে।

যে হেতু এনআরজি খুব অল্পসংখ্যক সদস্য নিয়ে তৈরি ও বছরে দু’ থেকে তিন বার এরা একত্রিত হয়, তাই বিভিন্ন ছোট ছোট সাব কমিটি তৈরি করা হয়, যারা বিভিন্ন নির্দিষ্ট বিষয়ের দেখভাল করে যেমন শিক্ষক শিক্ষিকাদের লিঙ্গ বিষয়ক প্রশিক্ষণ, লিঙ্গভিত্তিক শিক্ষক শিক্ষণ সামগ্রী তৈরি, অডিও ভিসুয়াল অনুষ্ঠান তৈরি ইত্যাদি। এই সাব কমিটিগুলি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিশেষজ্ঞকে এই কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত করে নেয়।

পদ্ধতি

মেয়েদের সংখ্যা এবং কী ধরনের আবাসিক বিদ্যালয় তৈরি হবে তার ভিত্তিতে জেলা কমিটির সুপারিশের উপর দাঁড়িয়ে রাজ্যস্তরের কমিটি স্কুলের মডেল বেছে  নেন। সেই প্রস্তাব জাতীয় স্তরের সেলের কাছে পেশ করা হয়, যাঁরা প্রয়োজনমতো বাইরের সংস্থা ও উপদেষ্টাদের সাহায্যে সেটি খতিয়ে দেখেন। পরিশেষে প্রকল্পটি সর্বশিক্ষা অভিযানের প্রকল্প অনুমোদন কমিটি দ্বারা অনুমোদিত হয়।