২০০৭ সালের স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে নিম্নোক্ত কথাগুলি বলেন :
আমি শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য সমস্ত রাজ্যকে অনুরোধ করছি, কারণ শিক্ষার ভিত্তির উপরই কেবলমাত্র প্রগতিশীল, উন্নত সমাজ গড়া যায়। রাজস্ব থেকে আয় বেড়ে চলার ফলে রাজ্যগুলির আর্থিক ক্ষমতা বেড়েছে। তাদের এ বার নিশ্চয়ই শিক্ষায় অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। এই উদ্দেশ্যে আমাদের সরকার সারা দেশে উন্নত মানের বিদ্যালয় স্থাপনে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা ৬০০০টি উন্নত মানের বিদ্যালয় স্থাপনে সহায়তা করব – দেশের প্রতিটি ব্লকে একটি করে। এই বিদ্যালয় অঞ্চলের অন্য বিদ্যালয়সমূহের জন্য মান নির্দেশক হবে।
দশম পরিকল্পনাকালে মাধ্যমিক শিক্ষার উপর বেশি জোর দেওয়া হয়নি। শিক্ষা পৌঁছে দেওয়া এবং মান উন্নয়ন করার জন্য কেবলমাত্র ছোট ছোট কয়েকটা পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু সেগুলোর ব্যাপ্তি বড় ছিল না বা সমন্বিত ছিল না। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের স্বশাসিত সংস্থার পরিচালিত বিদ্যালয়ব্যবস্থার উপরই পরিকল্পনাগুলিতে জোর দেওয়া হয়েছিল, যাতে প্রতিবন্ধীদের জন্য সুসংহত শিক্ষা, ছাত্রাবাস ব্যবস্থা-সহ মেয়েদের শিক্ষা, বিদ্যালয়ে আইসিটি ব্যবহার, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষায় বৃত্তিশিক্ষা অন্তর্গত করা এবং মুক্ত ও দূরশিক্ষার প্রসারের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
যে হেতু সবার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা সাংবিধানিক অঙ্গীকারে পরিণত হয়েছে, তাই মাধ্যমিক শিক্ষাকেও সর্বজনীন করার জন্য যে হেতু সবার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা সাংবিধানিক অঙ্গীকারে পরিণত হয়েছে, তাই মাধ্যমিক শিক্ষাকেও সর্বজনীন করার জন্য, এই দৃষ্টিভঙ্গীকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া জরুরি। বহু উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশ ইতিমধ্যেই এই লক্ষ্য অর্জন করেছে।
মেয়েদের এবং তফশিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত জনতাকে তালিকাভুক্ত করে, বিশেষত বিজ্ঞান, বাণিজ্য এবং বৃত্তিশিক্ষায়, মাধ্যমিক শিক্ষা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা প্রসারিত করা হবে।
…….কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের সমতুল্য মান, নিয়মকানুন ও স্কুলবাড়িসম্পন্ন্ সরকারি স্কুলের জন্য রাষ্ট্রের বিনিয়োগ করা উচিত।
উৎস : পোর্টাল কন্টেন্ট দল
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/28/2020