এর অর্থ হল, শিশুটি যদি ৬ বছর বয়সে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হত, তা হলে বর্তমানে সে যে শ্রেণিতে পড়ত, সেই শ্রেণিতে তাকে ভর্তি করা। অতএব কোনও শিশুর যদি ১১ বছর বয়স হয় এবং সে কখনও স্কুলে না গিয়ে থাকে, তা হলে তাকে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি করতে হবে। কিন্তু তাকে সেই স্তরের উপযোগী করে তোলার জন্য বিশেষ শিক্ষা দিতে হবে। এই শিক্ষার মেয়াদ হবে ৩ মাস থেকে ২ বছরের মধ্যে (আদর্শ বিধি ৩(১)।
শিক্ষকদের যোগ্যতামান এবং অন্যান্য শর্তগুলির দিক থেকে যদি এনজিওগুলি নির্দিষ্ট মানের হয়, তা হলে তাদের যুক্ত করা যেতে পারে। কিন্তু এই প্রশিক্ষণ দিতে হবে, শিশুরা প্রথমেই যেখানে ভর্তি হয় এমন কোনও নিয়মিত স্কুলে। আলাদা ভাবে চলা কোনও আবাসিক বা অনাবাসিক অবিধিবদ্ধ স্কুলে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া যাবে না।
এমভি ফাউন্ডেশনের মতো পথিকৃৎ সংগঠনগুলির কাজ এ কথা প্রমাণ করেছে যে এটা সম্ভব। যদিও বিশেষ প্রশিক্ষণের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কিছু নমনীয়তা দেখানোর দরকার হতে পারে। যদি কোনও শিশু ১৩ বছর বয়সে বিশেষ প্রশিক্ষণ শেষ করার পর তাকে বিধি অনুসারে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি করানো উচিত। কিন্তু যদি শিক্ষক/স্কুল মনে করে, মানিয়ে নেওয়ার জন্য শিশুটিকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি করা দরকার, তা হলে তারা শিশু/বাবা-মাকে সেই মতো পরামর্শ দিতে পারে।
১৪ বছর বয়স পেরিয়ে গেলেও অষ্টম শ্রেণির পাঠ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তার নিখরচায় শিক্ষা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কখনও স্কুলে যায়নি এমন কোনও ১৩ বছরের শিশুকে যদি স্কুলে নথিভুক্ত করানো হয় এবং তার পর তার প্রাথমিক শিক্ষা সম্পূর্ণ করতে যদি ৫ বছর বা তার বেশি সময় লেগে যায় অর্থাৎ ১৮ বছর বয়সও হয়ে যায়, তা হলেও এই আইন তার ওপর প্রযোজ্য হবে।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/16/2020