অতি সম্প্রতি কেন্দ্রীয় নতুন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি মন্ত্রক নির্দেশিকা প্রকাশ করে জওহরলাল নেহরু জাতীয় সৌর মিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরুর কথা ঘোষণা করেছে। মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে ১৬ জানুয়ারি ২০১৫-য়।
প্রকল্পের লক্ষ্য কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি দ্বারা সোলার ফোটোভোলটাইক পাওয়ার প্রোজেক্ট তৈরি করে তা গ্রিডে পাঠানো। লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ১০০০ মেগাওয়াট।
এই প্রকল্পের দ্বিতীয় দফা রূপায়িত হবে ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষ থেকে ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষের মধ্যে। এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি মন্ত্রক ১০০০ কোটি টাকা সহায়তা প্রদান করবে।
মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এনটিপিসি, এনএইচপিসি, সিআইএল, আইআরইডিএ, ভারতীয় রেলওয়ে সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থা টেন্ডারে অংশগ্রহণ করতে পারবে। এই কোম্পানিগুলিকে দেশীয় সংস্থার কাছ থেকে মডিউল ও সেল কিনে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে হবে। এই উৎপাদন ব্যবস্থাকে অতি অবশ্যই গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। তবে নিজস্ব প্রয়োজনে সংস্থাগুলি বিকল্প বিদ্যুৎ উৎপাদন করে তা ব্যবহার করতে পারে। অর্থাৎ বিকল্প বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থায় ক্যাপটিভ পাওয়ার প্লান্টের সাহায্যে উৎপাদনও চলতে পারে।
এই কোম্পানিগুলি সেন্ট্রাল রেগুলেটরি কমিশনের (সিআরসি) নিয়ন্ত্রিত দরে রাজ্য সরকার বা অন্য কোনও সংস্থাকে বিদ্যুৎ বিক্রি বা বিদ্যুৎ কেনা সংক্রান্ত চুক্তি করতে পারবে। বিভিন্ন রাজ্যের অধীনস্থ সংস্থাগুলির সঙ্গে তাঁরা বিদ্যুৎ ব্যবহার সংক্রান্ত চুক্তিও করবে।
গোটা প্রকল্পটি রূপায়ণ করবে সোলার এনার্জি কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া। তাদের হাতেই এ সম্পর্কিত চুক্তি রূপায়ণ ও দেখভালের সম্পূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া রূপায়ণের বিষয়টিও এসএসিআইয়ের নজরদারিতে হবে।
এই প্রকল্পের রূপায়ণের গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হল পূর্ণ কেন্দ্রীয় সহায়তা পেতে গেলে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে দেশীয় সংস্থাগুলির কাছ থেকেই যন্ত্র বা সোলার সেল কিনতে হবে। নচেৎ সহায়তার পরিমাণ কমবে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি বিকল্প বিদ্যুৎ সংক্রান্ত শিল্পকে চাঙ্গা করার উদ্দেশ্যেই এই প্রকল্পের দ্বিতীয় দফা কার্যকর করা হচ্ছে।
সূত্র : কেন্দ্রীয় নতুন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি মন্ত্রকের ওয়েবসাইট
সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/11/2020