বায়োডিজেল পরিবেশ-বান্ধব বিকল্প জ্বালানি যা গার্হস্থ পুনর্ব্যবহারযোগ্য উৎস যেমন, বনস্পতি তেল (ভোজ্য বা ভোজ্য নয় এমন) এবং পশু চর্বি থেকে তৈরি হয়। এই স্বাভাবিক তেল এবং চর্বি ট্রাইগ্লিসারাইড থেকে তৈরি। যখন অনুঘটকের উপস্থিতিতে লোয়ার অ্যালকোহলের সঙ্গে এই ট্রাইগ্লিসারাইডের রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটানো হয় তখন ফ্যাটি অ্যাসিড ইস্টার উৎপন্ন হয়। এই ইস্টারের সঙ্গে পেট্রোলিয়ামজাত ডিজেলের অদ্ভুত সাদৃশ্য রয়েছে। সেই জন্য একে বায়োডিজেল বলা হয়। ভারতে ভোজ্য তেলের অভাব রয়েছে। তাই অভোজ্য তেল থেকে বায়োডিজেল উৎপন্ন করা যেতে পারে, যেমন জাট্রোপা কারকাস, করঞ্জা ইত্যাদি।
বায়োডিজেল ব্যবহারের উপকারিতা হল-
- এটি গাড়ি থেকে নির্গত হওয়া ধোঁয়া কমায়। তাই এটি পরিবেশ-বান্ধব।
- এটি পুনর্নবীকরণযোগ্য উৎস থেকে পাওয়া যায়। তাই এটি স্থানীয় ভাবে তৈরি করা যায়।
- পেট্রোল-ডিজেলের তুলনায় এর সিটেন নম্বর বেশি। তাই এটি ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতা বাড়ায়।
- এর মসৃণতা খুব বেশি।
- এটি মজুত করা ও পরিবহণ করার ক্ষেত্রে অনেক নিরাপদ। কারণ এটি আদৌ বিষাক্ত নয় এবং পরিবেশে সহজেই মিশে যায়।
- ভারতে বায়োডিজেল উৎপাদন বাড়ানো গেলে বিদেশ থেকে আমদানির উপর নির্ভরতা কমবে। ফলে তেলের দামে স্থিতিশীল রাখা সহজ হবে।
- গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ অনেকটা কমবে। এক কেজি বায়োডিজেল ব্যবহার করলে ৩.৩ কেজি কার্বন ডায়োক্সাইড নির্গমন কমবে।
সূত্র : National Biofuel Centre
সর্বশেষ সংশোধন করা : 2/4/2020
0 রেটিং / মূল্যাঙ্কন এবং 0 মন্তব্য
তারকাগুলির ওপর ঘোরান এবং তারপর মূল্যাঙ্কন করতে ক্লিক করুন.
© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.