পঞ্চকর্ম বিদ্যাকে পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিল রাজ্য। উদ্দেশ্য, আয়ুর্বেদকে প্রত্যন্ত গ্রামে পৌঁছে দেওয়া।
এখন শুধু আয়ুর্বেদ কলেজগুলিতেই পঞ্চকর্ম মতে চিকিৎসা করানো হয়। তাও নিয়মিত নয়। ফলে ইচ্ছা থাকলেও বেশির ভাগ মানুষ এই চিকিৎসা পদ্ধতির সুযোগ নিতে পারেন না। যতটুকু সুফল ভোগ করেন তা শহরাঞ্চলের মানুষ। তাই এ বার পঞ্চকর্ম বিদ্যাকে পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত ছড়িয়ে দেওয়ার প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার।
সাইনাস, জটিল স্নায়ুরোগ, বাত, আমাশা সহ ‘ক্রনিক’ রোগের চিকিৎসায় পঞ্চকর্ম খুবই ফলপ্রসূ। এই পঞ্চকর্মের টানেই কেরলে শাখা-প্রশাখা বিস্তার করেছে মেডিক্যাল টুরিজম। ফি বছর হাজার হাজার মানুষ আসছেন ভারতে। অথচ, যে রাজ্যের সঙ্গে আষুর্বেদের শিকড়ের টান সেখানেই পিছিয়ে পড়েছে আয়ুর্বেদের এই পদ্ধতি।
ডাক্তারের অভাব মেটাতে গ্রামীণ এলাকায় ইতিমধ্যে আয়ুশ চিকিৎসক নিয়োগ করা হয়েছে। এই আয়ুশ চিকিৎসকদের সামনে রেখেই পঞ্চকর্ম ক্লিনিক খোলা হবে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে। জেলা হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, সর্বত্রই পঞ্চকর্ম-চিকিৎসা পদ্ধতির উপযোগী পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে।
রাজ্যের আয়ুশ দফতরের পরিষদীয় সচিব ডা. নির্মল মাজি জানিয়েছেন, পাঁচ হাজার বছর আগে এ দেশে আয়ুর্বেদের জন্ম। অথচ আয়ুর্বেদ নিয়ে সে ভাবে কিছুই করতে পারছি না। আমরাও পরিকাঠামো তৈরি করে আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় বিপ্লব আনব। পঞ্চকর্মকে পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত ছড়িয়ে দেব। প্রশিক্ষণ দেব। আয়ুর্বেদ ওষুধ তৈরিরও উদ্যোগ নেব’। জেবি রায় স্টেট আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজের শতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সম্পাদক অধ্যাপক ডা. প্রদ্যোৎবিকাশ কর মহামাত্র বলেন, ‘এখন আয়ুর্বেদের সস্নাতক স্তরের চূড়ান্ত বর্ষে পঞ্চকর্মের আলাদা ‘পেপার’ রয়েছে। সুতরাং, পঞ্চকর্ম করতে আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের কোনও সমস্যা হবে না।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন, ২ মার্চ ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/2/2020