অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

শিরদাঁড়া

ছাদ বা গাছ থেকে পড়ে, গাড়ির ধাক্কায় বা পিঠের উপর ভাঙা দেওয়াল পড়ে গিয়ে মেরুদণ্ড ভাঙতে পারে। নার্ভে চোট লাগলে পক্ষাঘাতও হয়ে যায়। তবে সঙ্গে সঙ্গে চিকিত্সা হলে হাড় তো জোড়েই, সাড়ও ফিরে আসে অনেক সময়।

  • ব্যথা কমার ইনজেকশন দিন।
  • শিরদাঁড়ার চিকিত্সার ব্যবস্থা আছে এমন হাসপাতালে নিয়ে যান। খুব তাড়াতাড়ি।
  • সাবধান হয়ে নাড়াবেন রোগীকে। মাটি থেকে স্ট্রেচারে তোলার সময় এক জন দু’ হাত পেতে দেবেন মেরুদণ্ডের নীচে। ঠিক সেই লেভেলে এক জন হিপ এবং পায়ের নীচে হাত রাখেবন। আরেক জন থাকবেন মাথার দিকে। খেয়াল রাখবেন মেরুদণ্ডের কোনও অংশ যাতে একটুও বেঁকে না থাকে বা ঘুরে না যায়। একে বলে লগ রোলিং। অ্যাম্বুলেন্সে ট্রান্সফার বোর্ড থাকলে ভালো। না হলে প্যাডিং দেওয়া কাঠের পাটাতনে শুইয়ে, পাটাতনসুদ্ধ ব্যান্ডেজ দিয়ে জড়িয়েও নিয়ে যেতে পারেন।
  • যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এক্সরের ব্যবস্থা করুন।
  • হাড় ভাঙলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিত্সা করতে হবে। বিশেষ করে হাত, পা বা শরীরের কোনও অংশে যদি ঝিন ঝিন ভাব দেখা দেয় বা সাড় কমতে থাকে।

ঘাড়ের কাছে মেরুদণ্ডে চোট

মচকে গেলে

  • ব্যথার ওষুধ খান প্রয়োজনমতো।
  • ৩ – ৬ সপ্তাহ স্নান এবং শোওয়ার সময় ছাড়া সব সময় কলার পরে থাকবেন।
  • কাঁধ পর্যন্ত ছড়ানো পাতলা বালিশে শোবেন। মাথা সোজা রাখতে হবে, দু’ পাশে বালিশের সাপোর্ট থাকলে সুবিধে।
  • পাশ ফিরে না শোওয়াই ভাল।
  • ৩-৬ সপ্তাহ পর কলার খুলে ঘাড় এ পাশ-ও পাশ এবং উপর নীচ করে ব্যায়াম করবেন।

হাড় ভাঙলে

  • খুব মারাত্মক এবং জরুরি অবস্থা। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতাল।
  • হাড় বেশি সরে না গেলে ৬ – ৮ সপ্তাহ ট্র্যাকশন দেওয়া হয়। ১০ – ১২ পাউন্ড ট্র্যাকশন দিলে চিবুক থেকে মাথার পেছনে বেল্ট পরিয়ে ওজন ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। বেশি ওজন দরকার হলে কানের উপরে মাথার হাড় ফুটো করে ট্র্যাকশন ঝোলাতে হয়।
  • পক্ষাঘাতের লক্ষণ দেখা দিলে এমারজেন্সি অপারেশন করতে হতে পারে। তবে এর ফলাফল সব সময় আশানুরূপ হয় না।

কোমরের কাছে মেরুদণ্ডে চোট

ভাঙেনি

  • ৭ – ১০ দিন শুয়ে বিশ্রাম।
  • প্রয়োজনমতো ব্যথা কমার ওষুধ। হট ওয়াটার ব্যাগের সেঁক নিতে পারেন।
  • হাঁটাচলা শুরু হলে বেল্ট পরতে হতে পারে।
  • ব্যথা কমলে কোমরের ব্যায়াম।

ভেঙেছে

অল্প ভাঙা, হাড় সরেনি
  • ৭- ১০ দিন ব্যথা কমার ওষুধ।
  • সপ্তাহ তিনেক টানা শুয়ে থাকা। চিৎ হয়ে বা পাশ ফিরে। ব্যথা কমলে মাঝেমধ্যে উঠে বসা যাবে। তবে হাঁটা চলবে না। বেড প্যান নিতে হবে।
  • তিন সপ্তাহ পর বেল্ট পরে হাঁটতে পারবেন।
  • কোমরের ব্যায়াম শুরু করবেন ৩ – ৪ সপ্তাহ পর থেকে।
কোমর ভেঙে পায়ে পক্ষাঘাত
  • খুব তাড়াতাড়ি হাসপাতাল।
  • আঘাত লাগার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্টেরয়েড ইনজেকশন শুরু করলে অনেক সময় কিছুটা সাড় ফিরে আসে। ৫ – ৭ দিন দেরি হয়ে গেলে আর দিয়ে লাভ নেই।
  • দ্রুত এম আর আই স্ক্যান করে স্নায়ুর কতটা ক্ষতি হয়েছে তা দেখা দরকার। তার পর তাড়াতাড়ি অপারেশন করে স্নায়ুর উপর এসে পড়া ভাঙা হাড়ের চাপ সরিয়ে দিলে নতুন করে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে না। কিছুটা সাড় ফিরে আসে। ভাঙা হাড় তার, রড বা রড ও স্ক্রু দিয়ে জুড়ে দেওয়া হয়।
  • অপারেশনের পর খুব তাড়াতাড়ি বিছানায় এ পাশ-ও পাশ করানো যায়। বেল্ট পরিয়ে উঠিয়ে বসানো যায়। ফলে বেডসোর হয় খুব কম।
  • আগে এঁরা শয্যাশায়ী হয়ে যেতেন। ক্যাথেটার পরে থাকতেন। আজকাল নতুন জীবন দেওয়া যাচ্ছে। সাড় ফিরে এলে তো কথাই নেই, না এলেও হুইল চেয়ারে চলাফেরা করতে পারছেন। ঠিকমতো ব্লাডার ট্রেনিং দিলে প্রস্রাবে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আসছে। ফলে ক্যাথেটারের প্রয়োজনও কমে যাচ্ছে। ক্যাথেটার থাকাকালীন কয়েকটি সাবধানতা মেনে চলা দরকার। যেমন —
    • মাঝেমধ্যে ক্যাথেটার বদলানো।
    • ব্লাডার ওয়াশ।
    • ডাক্তারের পরামর্শমতো প্রস্রাব কালচার করে ওষুধ খাওয়া।

তথ্য : ডাঃ কুণাল সেনগুপ্ত এবং ডাঃ ইন্দ্রজিত সর্দার

সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/25/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate