অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

ব্রেন টিউমার

অসহ্য মাথাব্যথা, গা বমি নিয়ে ঘুম ভাঙে। বমি হলে ব্যথা খানিকটা কমে। সাময়িক ভাবে আচ্ছন্ন বা অজ্ঞান হয়ে যান কেউ। এর সঙ্গে টিউমার কোথায় হয়েছে তার উপর নির্ভর করে আরও কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যেমন কম দেখা, চোখের কাজ করলে কপাল ব্যথা হওয়া বা বাড়া, ডাবল ভিশন। মুখে অসাড় ভাব, খাবার গিলতে কষ্ট হয়, কানে কম শোনা, মাথা ঘোরা, ভারসাম্য রাখতে অসুবিধে, মহিলাদের হঠাৎ বুকে দুধের সঞ্চার, আচমকা ঋতুবন্ধ, এমনকী বেশি মৃগী হলেও ভাবতে হয় ব্রেন টিউমারের কথা।

কী করবেন

  • একই ধরনের মাথাব্যথা দিনের মধ্যে বারে বারে ঘুরে ফিরে এলে এবং দিনের পর দিন চলতে থাকলে, দিন সাতেকের মধ্যে নিউরোলিজিস্ট দেখান।
  • সি টি বা এম আর আই স্ক্যান করতে হবে। অ্যাঞ্জিওগ্রামও করতে হতে পারে। চোখ, কান বা অন্য কোথাও সমস্যা থাকলে কিছু বিশেষ টেস্টও করতে হতে পারে।
  • মস্তিষ্কের প্রতি সেন্টিমিটার জায়গা কোনও না কোনও শারীরিক বা মানসিক কাজকর্মকে নিয়ন্ত্রণ করে। যে অংশেই টিউমার হোক না কেন, যত ছোটই হোক, বিপদের সম্ভাবনা আছে। কাজেই তাকে বাদ দিয়ে দেওয়াই যুক্তিযুক্ত। কিন্তু সব সময় তা করা যায় না। ছোট টিউমার, উপসর্গ তেমন নেই, দৈবাৎ নজের এসেছে বা সামান্য উপসর্গ আছে কিন্তু অপারেশন করলে লাভের চেয়ে ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি অথবা বয়স্ক অন্য কোনও কারণে অসুস্থ মানুষ — এ রকম ক্ষেত্রে উপসর্গ থাকলেও সচরাচর আপারেশন করা হয় না। তার বদলে রোগীকে নজরদারিতে রেখে দেখা হয় টিউমার কী গতিতে বাড়ছে, শারীরিক কষ্ট দেখা দিচ্ছে বা বাড়ছে কি না, টিউমার বাদ না দিলে কী কী ক্ষতির সম্ভাবনা আছে, অপারেশন বা রেডিয়েশনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রোগী মেনে নিতে প্রস্তুত কি না ইত্যাদি, অর্থাৎ টিউমার নিয় রোগী যে রকম জীবনযাপন করছেন বা করবেন, অপারেশন করে তার চেয়ে ভালো জীবন দেওয়া গেলেই অপারেশনের প্রশ্ন।
  • কী ধরনের অপারেশন হবে তা নির্ভর করে টিউমারের আকার, চরিত্র এবং কোথায় হয়েছে তার উপর। যেমন বড় টিউমার, যদি মনে হয় কিছু না করে রেখে দেওয়া বিপজ্জনক, আবার এত গুরুত্বপূর্ণ টিস্যু এবং নার্ভকে আশ্রয় করে বেড়ে উঠেছে যে পুরো বাদ দিলে বিপদের সম্ভাবনা আছে, ডি বালকিং সার্জারি করা হয়। অর্থাৎ আশপাশকে কম বিব্রত করে যতখানি সম্ভব টিউমার কেটে বাদ দেওয়া। এতে দু’টো লাভ, প্রথমত, টিস্যু পরীক্ষা করে টিউমারের ধরন নির্ধারণ করা যায়। অপারেশন-পরবর্তী চিকিত্সা মূলত এর উপরই নির্ভর করে। দ্বিতীয়ত রোগী কষ্টের হাত থেকে কিছুটা বা পুরোটা মুক্তি পান।
  • মাথায় ছোট ফুটো করে অপারেশন করা যায়, কখনও কম্পিউটারে টিউমারের জায়গা মেপে বাইরে থেকে রেডিয়েশন পাঠিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ছোট বিশেষ ধরনের টিউমারে গামা নাইফ দিয়ে অপারেশন করে খুব ভালো ফল পাওয়া যায়। বড় টিউমারেও অনেক সময় অপারেশন করে যতটা সম্ভব বাদ দিয়ে বাকিটুকুর জন্য গামা নাইফ ব্যবহার করা যেতে পারে। গামা নাইফ লক্ষ্যকেন্দ্রিক বলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুব কম।
  • ম্যালিগন্যান্ট টিউমারে অপারেশন এবং রেডওথেরাপি করে ভালো ফল হয়।

অপারেশন-পরবর্তী জীবন

লাভ লোকসানের হিসেব করেই অপারেশন হয়। কাজেই অপারেশনের পর রোগীর জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়। তবে জটিল টিউমারে সামান্য কিছু ক্ষেত্রে রোগীর মুখ অল্প বেঁকে যেতে পারে, চোখে ট্যারাভাব আসতে পারে। শ্রবণশক্তির ঘাটতি, ভারসাম্য কমে যাওয়া, স্মতিশক্তি কিছুটা কমা ইত্যাদি নানা কিছু হতে পারে। আসলে সম্পূর্ণ ব্যাপারটিই নির্ভর করে টিউমার কোথায় হয়েছে, কী গতিতে বাড়ছে এবং তার ধরনের উপর। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগ যথা সময়ে ধরা পড়লে খুব ভালো ভাবে অবস্থা সামলানো যায়।

তথ্য : ডাঃ আর এন ভট্টাচার্য

সর্বশেষ সংশোধন করা : 9/27/2019



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate