অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

প্রতিরোধ ও নিরাময়

প্রতিরোধ ও নিরাময়

এই কুপ্রভাবগুলোর বিষয়ে জানার পর স্বাভাবিক ভাবেই মনে প্রশ্ন জাগবে, কী ভাবে এর থেকে বেরনো সম্ভব ?

ইন্টারনেট আসক্তি থেকে নিজেকে মুক্ত করার কাজটা সত্যিই কঠিন। কারণ ইন্টারনেট বর্জিত জীবনযাপন আজকের দিনে অসম্ভব। তা হলে যেটা করতে হবে, তা হল, কী ভাবে ইন্টারনেটের যথাযথ ব্যবহার করতে হবে, তা শেখা। একেবারে বর্জন সহজ, কিন্তু বর্জন না করে নেশার বস্তুকে যথাযথ ব্যবহার করে, তার সুফল ভোগ করার কাজটা অনেকটাই কঠিন।

কিছু কিছু গবেষণায় দেখা যাচ্ছে কগনিটিভ বিহেভিয়ার থিয়োরি ইন্টারনেট আসক্তি দূর করার ক্ষেত্রে একটি প্রভাবশালী চিকিৎসা পদ্ধতি। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে ইন্টারনেটে আসক্ত মানুষটিকে শেখানো হয়, কী ভাবে প্রযুক্তি যথাযাথ ব্যবহার করা যেতে পারে এবং এই বিশেষ ব্যবহার কী করে সীমিত করা যেতে পারে। মোদ্দা কথা, নিয়ন্ত্রণ কী ভাবে করানো যেতে পারে তাই শেখানো হয়। এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে বিশেষ সুফল পাওয়া যাচ্ছে।

শেষে একটা কথা বলতেই হয়, অন্য সব রোগের মতোই সাবধানতা ও প্রতিরোধ সব সময়েই (দীর্ঘমেয়াদি ও অনেকাংশে অসফল) চিকিৎসার থেকে শ্রেয়। তাই বাবা মায়ের উচিত পরবর্তী প্রজন্মকে প্রযুক্তির যথার্থ ব্যবহার শেখানো। নির্দিষ্ট সময় ছাড়া অযথা ইন্টারনেট ব্যবহারের অভ্যাস যাতে না হয়, সেই শিক্ষা দিলেই আখেরে তাদের সন্তানদের ভাল করা হবে।

লেখক: রুমঝুম ভট্টাচার্য, মনোবিদ (ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট)

সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/2/2019



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate