কখন মাতৃদুগ্ধ পান করানো শুরু করা উচিত ?
শিশুর জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই তাকে মাতৃদুগ্ধ পান করানো শুরু করা উচিত। উলঙ্গ শিশুটিকে ভাল করে মুছিয়ে মায়ের স্তনের কাছে আনা উচিত। এতে মায়ের শরীরের সংস্পর্শে আসবে শিশু, তার গা গরম হবে। দিনে-রাতে শিশুকে অন্তত ৮ বার স্তন্যপান করানো উচিত। তা ছাড়া শিশু যখনই চাইবে, স্তন দিতে হবে। আর এ ভাবেই গর্ভের বাইরে প্রথম মা ও সন্তানের মধ্যে মানসিক মিলন ঘটবে।
কেন মাতৃদুগ্ধ তাড়াতাড়ি পান করানো শুরু করা উচিত?
এর প্রাথমিক কারণ চারটি ----
- প্রথম ৩০ থেকে ৬০ মিনিট শিশু সবথেকে বেশি চঞ্চল থাকে।
- বুক থেকে দুধ টানার যে স্বতঃস্ফূর্ততা তা এই সময়ে সব থেকে সক্রিয় থাকে।
- তাড়াতাড়ি শুরু করলে বুকের দুধ খাওয়ানোয় সক্ষম হওয়ার বেশি সম্ভাবনা থাকে। স্তন থেকে হলদেটে রঙের কোলোস্ট্রাম ক্ষরণ হয়, যাতে এমন সব পদার্থ থাকে যা শিশুকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। কোলোস্ট্রাম প্রায় প্রতিষেধকের কাজ করে।
- স্তন্যপান করালে স্তনস্ফ়ীতির ও প্রসবোত্তর রক্তক্ষরণের সম্ভাবনা কম থাকে।
সিজার হওয়া মায়েরা কি বুকের দুধ খাওয়াতে পারে?
সিজারের সঙ্গে বুকের দুধ না খাওয়ানোর কোনও সম্পর্ক নেই|
- অপারেশন হওয়ার চার ঘণ্টা পরেই বা জ্ঞান ফিরে পেলেই দুধ খাওয়ানো শুরু করা সম্ভব।
- শুয়ে থাকা অবস্থায় এক দিকে শরীর কাত করে দুধ খাওয়ানো সম্ভব, অথবা শিশুকে পেটের উপর রেখেও দুধ খাওয়ানো যেতে পারে।
কত দিন পর্যন্ত শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত?
অবশ্যই ছ’মাস পর্যন্ত। তবে দু’বছর বা তার বেশিও শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো যেতে পারে।
শিশুকে দুধ খাওয়ানোর পরে স্তন থেকে চুঁয়ে পড়লে কী করণীয়
এটা একটা সাময়িক সমস্যা। দুধ চোঁয়াতে দেখলে আপনার কনুই দিয়ে স্তনের বাইরের প্রান্ত বরাবর চেপে রাখুন, আস্তে আস্তে চোঁয়ানো বন্ধ হয়ে যাবে।
অসুস্থ অবস্থায় মা কি শিশুকে দুধ খাওয়াতে পারে
হ্যাঁ, খাওয়াতে পারে। বেশির ভাগ অসুখই শিশুকে প্রভাবিত করে না। এমনকী টাইফয়েড, ম্যালেরিয়া, যক্ষ্মা, জণ্ডিস বা কুষ্ঠর মতো রোগেও মা শিশুকে দুধ খাওয়াতে পারে।