এটি উনিশ শতকে আবিষ্কৃত হয়েছিল। মহিলাদের গর্ভনিরোধের ক্ষেত্রে এটি এক যুগান্তকারী আবিষ্কার। মধ্যচ্ছদা হল একটি গোল রবারের চাকতি, যার কিনারাগুলি শক্ত। জরায়ুকে ঢেকে রাখার জন্য ও বীর্য প্রবেশ রোধ করার জন্য এটি যোনির ভেতর ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। প্রথম বার মধ্যচ্ছদা ব্যবহারের ক্ষেত্রে চিকিৎসক / স্বাস্থ্যকর্মীর সাহায্য নেওয়া প্রয়োজন, কেননা যোনির উপরি ভাগের মাপ অনুসারে ২-৪ ইঞ্চির মধ্যে বিভিন্ন মাপে এটি পাওয়া যায়। প্রথম বার মধ্যচ্ছদা ব্যবহারের ক্ষেত্রে চিকিৎসক / স্বাস্থ্যকর্মীর সাহায্য নেওয়া প্রয়োজন, কেননা যোনির উপরি ভাগের মাপ অনুসারে ২-৪ ইঞ্চির মধ্যে বিভিন্ন মাপে এটি পাওয়া যায়। সঠিক মাপটি জেনে গেলে মহিলা নিজেই এটি পরতে বা খুলতে পারবেন। এটি যে কোনও রকম যৌনসংসর্গের আগে পরে নিতে হয় এবং যৌনসঙ্গম শেষ হওয়ার পর যোনিতে অবশিষ্ট বীর্য নাশের জন্য এটি অন্তত ছ’ঘন্টা রেখে দেওয়া উচিত। তার পর এটি বার করে সাবান ও জল দিয়ে ধুয়ে ভালো করে শুকিয়ে পরের বার ব্যবহারের জন্য রেখে দিতে হবে।
মধ্যচ্ছদার সম্ভাব্য সমস্যাগুলির মধ্যে একটি হল, এটি বেশি ভেতরে চলে গেলে গর্ভাশয় বা মূত্রনালীর থলিতে খিঁচুনি হতে পারে। কিছু মহিলার ক্ষেত্রে মূত্রনালীতে ব্যথা ও ক্রমাগত জ্বালা হতে পারে। যে সব মহিলা মূত্রনালী সংক্রমণ-প্রবণ ও যাদের জরায়ু স্থানচ্যুত, তাঁদের এটি ব্যবহার করা উচিত নয়। যা-ই হোক এটির সুবিধা হল, এটি সম্পূর্ণ ভাবে মহিলাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটি ভারতবর্ষে খুব একটা সহজলভ্য নয়। মহিলাদের কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পরীক্ষার ভিত্তিতে এটি আমদানি ও বিতরণের ব্যবস্থা করেছে। একটি মধ্যচ্ছদার দাম প্রায় ৪০০ টাকা। যদিও আপাত ভাবে এটি ব্যয়বহুল, তবু মনে রাখতে হবে এটি বার বার ব্যবহার করা যায় এবং যথাযথ ভাবে রাখলে প্রায় তিন বছর চলে।
উৎস : পোর্টাল কন্টেন্ট দল
সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/4/2019