মহিলাদের কন্ডোম এক দিক বন্ধ, নরম, আলগা, রবার জাতীয় উপাদানে তৈরি। এটি যোনিতে শুক্রাণুর প্রবেশকে রোধ করে। এটি যৌনসঙ্গমের আগে যোনিতে প্রবেশ করানো হয়। এই জিনিসটির দু’টি প্রান্তে দু’টি নমনীয় পলিইউরোথেন রিং লাগানো থাকে। একটি জরায়ুর দিকের বন্ধ প্রান্তে ও অন্যটি যোনির বাইরে খোলা দিকে। যোনিকপাট ও পুরুষাঙ্গের মুখের মধ্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এটি পদ্ধতিটির সুরক্ষাকে আরও বেশি কার্যকর করে তলে। একটি জরায়ুর দিকের বন্ধ প্রান্তে ও অন্যটি যোনির বাইরে খোলা দিকে। যোনিকপাট ও পুরুষাঙ্গের মুখের মধ্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এটি পদ্ধতিটির সুরক্ষাকে আরও বেশি কার্যকর করে তলে। মহিলারা কোনও রকম যৌনসংসর্গের আগেই এই কন্ডোম পরে নিতে পারেন। যৌনসঙ্গমের পর খুব সাবধানে এটি খোলা দরকার, যাতে মহিলাটি উঠে দাঁড়ানোর আগে যোনিতে শুক্রাণু পড়ে না যায়। মহিলা-কন্ডোম হল মধ্যচ্ছদা ও কন্ডোমের সমন্বয়। এটি মধ্যচ্ছদার মতোই যোনিতে প্রবেশ করানো হয়, সরাসরি জরায়ুকে ঢাকা হয় না। পুরুষ-কন্ডোমের মতোই মহিলা-কন্ডোম এক বার মাত্র ব্যবহার করা যায়।
মহিলা-কন্ডোম শুধু যোনির দেওয়ালই নয়, জরায়ুকেও ঢেকে রাখে। পুরুষ-কন্ডোমের মতোই এটি যে শুধু জন্ম নিয়ন্ত্রণে কার্যকর তা-ই নয়, এটি এইচআইভি বা যৌন সংক্রমণও প্রতিরোধ করে।
এটির আরও সুবিধা হল যে, যৌনসঙ্গমের আগেই এটি পরে নেওয়া যায়, কাজেই সঙ্গম ব্যাহত হয় না। এটি একই মাপে পাওয়া যায়। তাই এটি পরার জন্য ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। এর প্রধান অসুবিধা হল এর দাম। আরেকটি অসুবিধা হল যৌনসঙ্গম চলাকালে এটি থেকে অস্বস্তিকর শব্দ বের হয়, আর ওরাল সেক্সও (মুখের দ্বারা সঙ্গম) সুখদায়ক হয় না। যে হেতু এটিতে ক্লিটোরিস ঢাকা পড়ে, তাই বহু মহিলারই যৌন আনন্দ কমে যায় ও অসুবিধা বোধ হয়। মহিলা-কন্ডোম ভারতবর্ষে তত সহজলভ্য নয়। এটি সাধারণত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি বেশি বিলি করে।
উৎস : পোর্টাল কন্টেন্ট দল
সর্বশেষ সংশোধন করা : 4/14/2020