এই পদ্ধতিতে পেটে ছোট ছিদ্র করে মহিলাদের ডিম্বনালি কেটে, বেঁধে, বা ক্লিপ করে দেওয়া হয়। স্থানীয় অ্যানাস্থেশিয়া করেই ছিদ্র করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় ডিম্বনালি বন্ধ করে দেওয়া হয়, ফলে ডিম্বাণু শুক্রাণুর সঙ্গে মিলিত হতে পারে না। যথাযথ ভাবে করলে মহিলা-বন্ধ্যাত্বকরণ একটি অত্যন্ত কার্যকর পদ্ধতি, যদিও জটিলতা দেখা দিতে পারে ও দেখা দেয়। এর মধ্যে আছে সংক্রমণ, অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ ও জরায়ু এবং/ অথবা অন্ত্রে ছিদ্র হয়ে যাওয়া। এ ছাড়াও এতে হৃদযন্ত্রের সমস্যা, অনিয়মিত ঋতুস্রাব, বেদনাদায়ক মাসিক স্রাব হতে পারে এবং আবার ডি অ্যান্ড সি, এমনকী হিস্টেরেক্টমি (জরায়ু কেটে বাদ দেওয়া) করতে হতে পারে। এ রকম ক্ষেত্রে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। বন্ধ্যাত্বকরণের আগে ও পরে যথাযথ সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। এই অপারেশনের ২-৩ দিন পরেই স্বাভাবিক কাজকর্ম করা যায়, তবে এক সপ্তাহ ভারী জিনিস তোলা উচিত নয়। এক সপ্তাহ পরে যৌনসঙ্গম শুরু করা যেতে পারে। টিউবেকটমির ক্ষেত্রে পেটের যে কোনও বড় অপারেশনের মতই জটিলতা দেখা দিতে পারে। যেমন, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, হার্ট অ্যাটাক, সংক্রমণ, অভ্যন্তরীণ রক্তপাত ও বৃহৎ রক্তবাহী ধমনী ছিদ্র হয়ে যাওয়া। যদি এই অপারেশনের সময় যথাযথ পরিকাঠামোগত সাবধানতা অবলম্বন না করা হয় (যেমন পরিবার পরিকল্পনা ‘ক্যাম্প’ যেখানে এক সঙ্গে অনেক মহিলার বন্ধ্যাত্বকরণ করা হয়), তা হলে এই ঝুঁকিগুলি দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বহুগুণ বেড়ে যায়। ভ্রাম্যমাণ ক্যাম্পগুলিতে এই সমস্যা আরও বেশি। কেননা সেখানে পরবর্তী পরীক্ষার কোনও ব্যবস্থা থাকে না। ল্যাপেরোস্কোপিক প্রযুক্তির সাহায্যে অপারেশন করার কিছু বিশেষ সমস্যা আছে। যেমন, ভিতরে পুড়ে গিয়ে ক্ষত, অন্যান্য অঙ্গ বা তন্তু ফুটো হয়ে যাওয়া, ত্বক পুড়ে যাওয়া, অন্ত্রে ফুটো হওয়া, জরায়ুতে ছিদ্র ও কার্বন ডায়োক্সাইড এমবলিজম (যার ফলে তত্ক্ষণাৎ মৃত্যু হতে পারে)।
উৎস : পোর্টাল কন্টেন্ট দল
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/28/2020