যথাযথ ভাবে কৃত্রিম গর্ভপাত ঘটানো হলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মহিলাদের সাধারণ শারীরিক ও প্রজনন সংক্রান্ত স্বাস্থ্যে দীর্ঘমেয়াদী কোনও প্রভাব পড়ে না। খুব অল্প ক্ষেত্রেই গর্ভপাত করানোর পর সাংঘাতিক জটিলতা সৃষ্টি হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে যে গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসের মধ্যে সুরক্ষিতভাবে কৃত্রিম গর্ভপাত করালে পরবর্তী কালে গর্ভধারণের ক্ষেত্রে তা কোনও ভাবেই প্রভাব ফেলে না। এপিডেমিয়োলজির তথ্য অনুসারে দেখা গেছে যে গর্ভপাতের সঙ্গে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকির কোনও যোগ নেই। গর্ভপাতের পর মহিলারা আগের মতোই স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন।
গর্ভপাত করানোর পর হাসপাতাল থেকে বাড়ি যাবার পর কী ভাবে নিজের দেখাশোনা ও সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত এবং অবিলম্বে চিকিত্সা করার মত কোনও জটিলতা দেখা দিলে তা কী ভাবে বোঝা যাবে, কী কী ব্যবস্থা নিতে হবে, সে সম্পর্কে মহিলাটিকে খুব পরিষ্কার ও সহজ ভাষায় মৌখিক ও লিখিত নির্দেশ দিতে হবে। গর্ভপাত করানোর পরে মহিলাটি যাতে প্রয়োজনে চিকিত্সকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন, যা যা জানতে চান জানতে পারেন ও সাহায্য পান, তার ব্যবস্থা থাকা উচিত।
পর্যালোচনায় যদি দেখা যায় যে কিছু স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানকারী বা সম্ভাব্য প্রদানকারী গর্ভপাতকে, এমনকী যেখানে অনুরোধে গর্ভপাত আইনসিদ্ধ, সেখানেও নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছেন, তবে কর্মসূচি পরিকল্পনাকারীদের উচিত যোগ্য মহিলারা যাতে এই পরিষেবা পান, তা সুনিশ্চিত করা।
আইনসম্মত গর্ভপাতের ক্ষেত্রে যাতে উন্নতমানের পরিষেবা পাওয়া যায়, সে বিষয়ে নীতি এবং মান নির্ণয় ও তা কার্যকর করা সুনিশ্চিত করতে হবে। আধা-সরকারি, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলিতে উন্নতমানের সুরক্ষিত গর্ভপাত পরিষেবা দেওয়ার প্রতিটি ক্ষেত্রে যেন এগুলি চূড়ান্ত ভাবে সংযোজিত হয়---
সর্বশেষ সংশোধন করা : 4/29/2020