অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

সুসংহত শিশু সুরক্ষা প্রকল্প মাধ্যমে বিধি সম্মত কাঠামো গুলোকে সাহায্য

সুসংহত শিশু সুরক্ষা প্রকল্প মাধ্যমে বিধি সম্মত কাঠামো গুলোকে সাহায্য

  1. শিশু কল্যাণ সমিতি
    1. ভূমিকা
    2. কাঠামো
  2. কিশোর ন্যায় বিচার পর্ষদ
    1. ভূমিকা
    2. কাঠামো
  3. কিশোর ন্যায় বিচার ব্যবস্থায় পুলিশের
    1. ভূমিকা
  4. কিশোরদের জন্য বিশেষ পুলিশকক্ষতে সমাজকর্মীদের ভূমিকা
  5. কিশোর/শিশু কল্যাণ আধিকারিকের নির্দিষ্ট ভূমিকা
  6. পুলিশরা কিভাবে ‘শিশু বান্ধব’ হতে পারে
  7. সুসংহত শিশু সুরক্ষা প্রকল্পের মাধ্যমে পরিষেবা প্রদান
  8. রাজ্যে সুসংহত শিশু সুরক্ষা প্রকল্পের মূল কাঠামো
  9. রাজ্য স্তরে সুসংহত শিশু সুরক্ষা প্রকল্পের পরিকাঠামো স্থাপন করা হয়েছে
    1. রাজ্য শিশু সুরক্ষা সোসাইটি(SCPS)
    2. রাজ্য প্রকল্প সহায়তা কক্ষ (SPSU)
    3. রাজ্য শিশু সুরক্ষা সমিতি (SCPC)
    4. রাজ্য দত্তক সম্পদ সংস্থা (SARA)
    5. রাজ্য দত্তক উপদেষ্টা সমিতি (SAAC)
  10. রাজ্য শিশু সুরক্ষা সোসাইটির আইনি মর্যাদা
  11. রাজ্য শিশু সুরক্ষা সোসাইটি
  12. রাজ্য শিশু সুরক্ষা সোসাইটি মধ্যে যে যে থাকবেন

প্রতিটি জেলায় শিশু কল্যাণ সমিতি এবং কিশোর ন্যায় বিচার পর্ষদ সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য সুসংহত শিশু সুরক্ষা প্রকল্পে প্রয়োজনমত আর্থিক বরাদ্দ ও পরিকাঠামোর ব্যবস্থা আছে। কোনো জেলায় যদি শিশু আব বা পর্যবেক্ষণ আবাস না থাকে সেইসব জেলাতে শিশু কল্যাণ সমিতি এবং কিশোর ন্যায় বিচার পর্ষদ কার্য পরিচালনার জন্য অফিস ঘর নির্মাণ করা এবং ভাড়া করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সুসংহত শিশু সুরক্ষা প্রকল্পে বরাদ্দ আছে। কিশোরদের জন্য বিশেষ পুলিশ সেল (SPU) জেলা শিশু সুরক্ষা সোসাইটির অন্তর্ভুক্ত দুই জন সমাজ কর্মীর বেতনের ব্যবস্থাও সুসংহত শিশু সুরক্ষা প্রকল্পে বরাদ্দ আছে।

শিশু কল্যাণ সমিতি

ভূমিকা

কশোর বিচারে (শিশুদের যত্ন ও সুরক্ষা) আইন, ২০০৬ অনুযায়ী শিশুর জন্য প্রতিটি জেলায় অন্তত একটি করে শিশু কল্যাণ সমিতি গঠিত হবে, এটি যত্ন ও সুরক্ষার প্রয়োজনে থাকা শিশুদের সঠিক যত্ন, সুরক্ষা, চিকিৎসা, বিকাশ এবং পুনর্বাসন সংক্রান্ত সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে।

কাঠামো

কিশোর ন্যায় বিচার পর্ষদ

ভূমিকা

কিশোর বিচার (শিশুদের যত্ন ও সুরক্ষা) আইন, ২০০৬ অনুযায়ী প্রতিটি জেলায় অন্তত একটি করে কিশোর বিচার পর্ষদ গঠিত হবে। এটি আইনের সাথে সংঘাতে থাকা কিশোরদের সাথে সম্পর্কিত প্রতিটি বিষয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার চূড়ান্ত ক্ষমতা কিশোর বিচার পর্ষদের।

কাঠামো

কিশোর ন্যায় বিচার ব্যবস্থায় পুলিশের

ভূমিকা

যেহেতু পুলিশ শিশুর সাথে সর্বপ্রথম যোগাযোগ স্থাপন করে সেহেতু কিশোর ন্যায় বিচার ব্যবস্থায় পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কিশোরদের জন্য বিশেষ সেল তৈরী হয়েছে আইনের সাথে সংঘাতে থাকা কিশোর এবং যত্ন ও সুরক্ষার প্রয়োজনে থাকা শিশু সংক্রান্ত সমস্ত বিষয়গুলি গ্রহণ করার জন্য।

কিশোরদের জন্য বিশেষ পুলিশ কক্ষ তৈরী হয় একজন কিশোর/শিশু কল্যাণ আধিকারিক, যিনি থানার সেকেন্ড অফিসার (অর্থাৎ মেজবাবু) পদের হবেন এবং জেলা শিশু সুরক্ষা কক্ষ থেকে ২ জন পেশাদারী সমাজকর্ম (যাদের মধ্যে একজন অবশ্যই মহিলা) নিয়ে যাদের শিশুদের সাথে ব্যবহার এবং শিশুদের সাথে কাজ করার যথেষ্ট প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা আছে।

কিশোরদের জন্য বিশেষ পুলিশকক্ষতে সমাজকর্মীদের ভূমিকা

প্রাথমিকভাবে সমাজকর্ম শিশুটিকে নির্ভরতা দেবেন এবং একটি বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করবেন যাতে শিশুটি কিছুটা আশ্বস্ত হতে পারে এবং শিশুটির থেকে সমস্ত দরকারী তথ্যগুলি জানার চেষ্টা করবেন। সমাজকর্মী বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির সাথে সংযোগ রক্ষা করবেন যাতে শিশুটি অস্থায়ীভাবে কোনো প্রতিষ্ঠানে থাকতে পারে যতক্ষণ না তাকে, ঘটনানুযায়ী, কিশোর ন্যায় বিচার পর্ষদ বা পর্যবেক্ষণ আবাস অথবা শিশু কল্যাণ সমিতি বা শিশু আবাসে রাখা হচ্ছে বা আইনের সঙ্গে সংঘাতে থাকা কিশোরের জামিন হচ্ছে।

কিশোর/শিশু কল্যাণ আধিকারিকের নির্দিষ্ট ভূমিকা

কিশোর/শিশু কল্যাণ আধিকারিক প্রতিটি জেলার কিশোর ন্যায় বিচার পর্ষদ এবং শিশু কল্যাণ সমিতির সাথে সম্পূর্ণ যোগাযোগ রাখবেন। কিশোর/শিশু কল্যাণ আধিকারিকের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাগুলি হলঃ

  • অপরাধের গুরুত্বানুযায়ী আইনের সঙ্গে সংঘাতে থাকা কিশোরকে জামিন দিয়ে দেওয়া।
  • কিশোর ন্যায় বিচার পর্ষদ বা শিশু কল্যাণ সমিতির কাছে শিশুকে নিয়ে আসা (যাতায়াতের সময় বাদ দিয়ে যথাক্রমে আইনের সঙ্গে সংঘাতে থাকা কিশোরকে গ্রেপ্তার বা যত্ন এবং সুরক্ষার প্রয়োজনে থাকা শিশুকে পাওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে)।
  • বিভিন্ন স্তরে কিশোর ন্যায় বিচার পর্ষদ বা শিশু কল্যাণ সমিতিকে সহায়তা করা।
  • নির্দিষ্ট শিশুটির সম্পর্কে রিপোট তৈরী করা।
  • তদন্তকারী আধিকারিক হিসেবে অনুসন্ধান পরিচালনা করা।
  • আইনের সঙ্গে সংঘাতে থাকা কিশোরকে গ্রেপ্তার করার পর জেনারেল ডায়েরীতে নথিভুক্ত করা বা বিশেষ ক্ষেত্রে এফ.আই.আর নথিভুক্ত করা।
  • আইনের সঙ্গে সংঘাতে থাকা কিশোরের বাবা-মা অথবা অভিভাবককে এই গ্রেপ্তার সম্পর্কে জানানো ।
  • সংশোধন আধিকারিককে (Probation Officer) এই গ্রেপ্তার সম্পর্কে জানানো।
  • পর্ষদে প্রথম শুনানীর (সাধারণত ১৫ দিনের মধ্যে) আগে সামাজিক পরিপাশ্বিক অবস্থার রিপোট জমা দেওয়া ।
  • শিশুর সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের রিপোর্ট তৈরী করা।
  • বাজেয়াপ্ত জিনিসের তালিকা তৈরী করা।
  • ৬ মাসের মধ্যে অনুসন্ধানের নিম্পত্তি না হলে চূড়ান্ত রিপোর্ট সত্য ঘোষণা করা।
  • পুনর্বাসনের সময় এবং অনুসন্ধান চলাকালীন শিশুদের নিরাপত্তা প্রদান করা।
  • বয়স অনুসন্ধানের জন্য অথবা শারীরিক কারণে হাসপাতালে গেলে শিশুদের নিরাপত্তা প্রদান করা।
  • সমস্ত অনুসন্ধানকে লিপিবদ্ধ করে রাখা এবং সর্বশেষে আপত্তিহীনতার শংসাপত্র প্রদান করা।

পুলিশরা কিভাবে ‘শিশু বান্ধব’ হতে পারে

  • শিশুদের যাতে হাতকড়া পরানো বা শিকল দিয়ে বাধা না হয় সে বিষয়ে পুলিশ সদা সতর্ক থাকবেন।
  • শিশুদের কোনো অবস্থায় যাতে জেলে পাঠানো না হয় সে বিষয়ে পুলিশকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
  • গ্রেপ্তারের সময় ছাড়া আইনের সঙ্গে সংঘাতে থাকা কিশোরের সাথে থাকাকালীন পুলিশ সাধারণ পোশাকে থাকবেন ।
  • ধরা পড়ার পর শিশুকে খাদ্য, পানীয় জল, চিকিৎসার ব্যবস্থা, ঔষধপত্র ইত্যাদি প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি দিতে হবে ।
  • কোনো স্পর্শকাতর ভাষার ব্যবহার সম্বন্ধে পুলিশকে সচেতন থাকতে হবে।

সুসংহত শিশু সুরক্ষা প্রকল্পের মাধ্যমে পরিষেবা প্রদান

এই প্রকল্পের বিভিন্ন উপাদান যেগুলি বিশেষত কঠিন পরিবেশে থাকা শিশুদের জন্য তৈরী সেগুলি নিম্নলিখিত চিত্রে দেখানো হল :

রাজ্যে সুসংহত শিশু সুরক্ষা প্রকল্পের মূল কাঠামো

রাজ্যে শিশু সুরক্ষা সোসাইটি হল সুসংহত শিশু সুরক্ষা প্রকল্পকে রাজ্যে রূপায়ণ করার জন্য মূল কাঠামো।

রাজ্য স্তরে সুসংহত শিশু সুরক্ষা প্রকল্পের পরিকাঠামো স্থাপন করা হয়েছে

শিশু সুরক্ষা প্রকল্প রূপায়ণের জন্য সরকার নীচে উল্লেখ করা কাঠামোগুলিকে স্থাপন করবে:

রাজ্য শিশু সুরক্ষা সোসাইটি(SCPS)

রাজ্যে সুসংহত শিশু সুরক্ষা প্রকল্পটিকে রূপায়ণ করার জন্য মৌলিক কাঠামো ।

রাজ্য প্রকল্প সহায়তা কক্ষ (SPSU)

প্রাথমিক স্তরে প্রকল্পটির অন্তর্গত কাজগুলোর পরিকল্পনা করা, নানাবিধ তথ্য সংগ্রহ করা, রিপোট তৈরী করা এবং মূল্যায়ন করার জন্য কাঠামো।

রাজ্য শিশু সুরক্ষা সমিতি (SCPC)

রাজ্যস্তরে প্রকল্পটির ওপর সজাগ দৃষ্টি রাখা এবং রাজ্য শিশু সুরক্ষা সোসাইটির সঙ্গে সংযোগ রাখার জন্য কাঠামো ।

রাজ্য দত্তক সম্পদ সংস্থা (SARA)

দত্তক গ্রহণের প্রক্রিয়ার জন্য সমন্বয়সাধন করা, সজাগ দৃষ্টি রাখা এবং উন্নয়ন করার জন্য কাঠামো ।

রাজ্য দত্তক উপদেষ্টা সমিতি (SAAC)

পরিবারভিত্তিক অপ্রাতিষ্ঠানিক যত্নের কর্মসূচীগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, রূপায়ণ, তত্ত্বাবধান এবং সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্য কাঠামো।

রাজ্য শিশু সুরক্ষা সোসাইটির আইনি মর্যাদা

রাজ্য শিশু সোসাইটিকে সুসংহত শিশু সুরক্ষা প্রকল্প এবং শিশু সুরক্ষা সংক্রান্ত প্রকল্পগুলোকে রূপায়িত করার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সোসাইটিজ রেজিস্ট্রেশন আইন, ১৯৬১-এ (West Bengal Societies Registration Act XXI, 1961), মোতাবেক নথিভুক্ত করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ শিশু বিকাশ দপ্তর এই সোসাইটি তৈরী করার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন। রাজ্যে ২০১০ সালে ফেব্রুয়ার মাসে রাজ্য শিশু সুরক্ষা সোসাইটি গঠিত হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট আইনে নিবন্ধীকৃত হয়েছে।

রাজ্য শিশু সুরক্ষা সোসাইটি

রাজ্য শিশু সুরক্ষা সোসাইটি মধ্যে যে যে থাকবেন

  • দুটি মূল নিয়ামক কাঠামো হল : সাধারণ সভা ও পরিচালন সমিতি।
  • রাজ্য দত্তক সম্পদ সংস্থা (SARA)।
  • প্রকল্প মঞ্জুর সমিতি এবং অন্যান্য কাঠামো, নিয়ামক কাঠামো যেমনটা ঠিক করবেন।
  • Sponsorship এবং Foster Care তত্তবাতবধান সমিতি ।
  • রাজ্য স্তরে শিশুদের অনুসরণ পদ্ধতি (child tracking system) ।
  • জেলা স্তরে জেলা শিশু সুরক্ষা সোসাইটি (DCPS) ।

 

সুত্রঃ পশ্চিমবঙ্গ শিশু বিকাশ দফতর

সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/28/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate