পরিচ্ছন্নতা বা নির্মলীকরণের সঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি জড়িত? এ-ও কখনও সম্ভব?
কয়েক মাসের মধ্যেই প্রথম জলাধারটি তৈরি হল। প্রতিটি বাড়িতে জল সংযোগের ব্যবস্থা করা হল।
এ কথা জানা আছে যে আমাদের দেশে সংবিধানের ৭৩-তম সংশোধনের মাধ্যমে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠা লাভ সম্ভব হয়।
পৃথিবীর প্রায় সব কল্যাণকামী রাষ্ট্র তার নাগরিকদের, সুস্থ, স্বাস্থ্যজ্জ্বল ও সুন্দর রাখতে জনস্বাস্থ্যের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে থাকে।
২০০২ সালে জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রসঙ্ঘের ‘বিশ্ব পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন’ শীর্ষ সম্মেলনে দেশের উন্নয়নে নির্মলীকরণের সবিশেষ গুরুত্ব স্বীকার করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, ২০১৫ সালের মধ্যে বিশ্বের যে বিপুল সংখ্যক মানুষদের মধ্যে নির্মলীকরণের ন্যুনতম মৌলিক সুবিধাগুলি পৌঁছয়নি, তার অর্ধেককে উক্ত পরিষেবার আওতায় আনতে হবে।
আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে নির্মলীকরণের অভিযান শুরু হয় বিগত শতাব্দীর নয়ের দশকের গোড়ায় রামকৃষ্ণ মিশন লোকশিক্ষা পরিষদের হাত ধরে।
‘নির্মল ভারত অভিযান’ হল কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যতম এক প্রকাশ, যার মূল উদ্দেশ্য হল
এ কথা এখন বহুজনগ্রাহ্য যে, কোনও দেশের জনসাধারণের সার্বিক সুস্থ থাকার বিষয়টি বিশেষ ভাবে নির্ভর করে সেই দেশের সুপেয় জলের সরবরাহ ও যথাযথ নির্মলীকরণের ব্যবস্থার মানের উপর।