দেশকালীমাতার মন্দির, মঠ আর রথযাত্রা নিয়ে গুপ্তিপাড়া এক জমজমাট তীর্থস্থান।
কালনা বা অম্বিকা কালনা হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলার একটি শহর যা ভাগীরথীর তীরে অবস্থিত।
আঁটপুর (ইংরেজি: Antpur) ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হুগলি জেলার একটি গ্রাম।
১৪৯৫ সালে বিপ্রদাস পিল্লাই রচিত মনসামঙ্গল কাব্যে হুগলি নামের উল্লেখ দেখা যায়। এর থেকে বোঝা যায় জেলার নামকরণ বিদেশিকৃত নয়। কারণ এই রচনা কালের ২২ বছর পর পর্তুগিজরা বাংলায় প্রবেশ করেছিল। ১৫৯৮ সালে রচিত আবুল ফজলের আইন-ই-আকবরি গ্রন্থেও হুগলি নামের স্পষ্ট উল্লেখ আছে।
কল্যাণেশ্বরী মন্দির বর্ধমান জেলার অন্তর্গত আসানসোল মহকুমার কল্যাণেশ্বরীতে অবস্থিত। এই মন্দিরটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ঝাড়খণ্ড সীমান্তে বরাকর নদীর তীরে অবস্থিত। দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের অধীন বিখ্যাত মাইথন বাঁধের থেকে ৫ কিলোমিটার (৩.১ মাইল) দূরে অবস্থিত এই মন্দিরটি একটি পর্যটন আকর্ষণ।
নিমাইয়ের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা কাটোয়া। এখানেই তিনি কেশব ভারতীর কাছে দীক্ষা নেন। নাম হয় শ্রীকৃষ্ণচৈতন্যগিরি, আমাদের শ্রীচৈতন্য। তাই কাটোয়ার মাহাত্ম্য বৈষ্ণবতীর্থ হিসাবে। নিমাইয়ের সেই দীক্ষাস্থল আজকের গৌরাঙ্গবাড়ি। স্টেশন রোড থেকে কাছারি রোডে এসে মহাপ্রভুপাড়ার বাজার।
শ্রীরামকৃষ্ণ ও সারদা মায়ের স্মৃতিবিজড়িত একটি ছোট গ্রাম বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর থেকে সাতাশ মাইল দূরে। এই স্থানটি সিহড়-এর পূর্ব দিকে দুই মাইল এবং শ্রী শ্রী ঠাকুরের পবিত্র জন্মস্থান কামারপুকুরের তিন মাইল পশ্চিমে।
এই প্রতিবেদনে কলকাতার অন্যতম একটি দর্শনীয় পীঠস্থান কালীঘাটের মন্দির ও তার ইতিকথা সম্পর্কিত তথ্য রয়েছে।
সিঙ্গুর থেকে যে রাস্তাটা তারকেশ্বরে গেছে সেই রাস্তায় জুলাই-আগস্ট মাসে বা শিবরাত্রি ও চৈত্র সংক্রান্তির সময় তোমাদের যাওয়ার সুযোগ হয় তা হলে দেখবে দলে দলে আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা চলেছে হেঁটে। কাঁখে বাঁক। সাধারণ থেকে সুদৃশ্য। তাতে রয়েছে জল।
হাওড়া থেকে ট্রেনে তারকেশ্বর। সেখান থেকে বাসে চলে এসো কাঁড়ারিয়া। বাস থেকে নেমে দামোদর পেরোনো কাঠের মরশুমি সেতু দিয়ে।
বৈষ্ণব ধর্মের পীঠস্থান নবদ্বীপ। ভাগীরথীর পাড়ে নবদ্বীপে ১৪৮৬ খ্রিস্টাব্দে দোলপূর্ণিমায় আবির্ভাব শ্রীচৈতন্যদেবের।
কলকাতা চিৎপুর অঞ্চলে অবস্থিত নাখোদা মসজিদ কলকাতার প্রধান মসজিদ। মহাত্মা গান্ধী রোড থেকে রবীন্দ্র সরণি ধরে দক্ষিণমুখী ৫ মিনিটের পথে জাকারিয়া স্ট্রিটের সংযোগস্থলে এই নাখোদা মসজিদ।
জৈনধর্ম প্রাচীন ভারতে প্রবর্তিত একটি ধর্মমত। বর্তমানে বিশ্বের নানা দেশে এই ধর্মমতাবলম্বীদের দেখা যায়। জৈনধর্মের মূল বক্তব্য হল সকল জীবের প্রতি শান্তি ও অহিংসার পথ গ্রহণ। জৈন দর্শন ও ধর্মানুশীলনের মূল কথা হল দৈব চৈতন্যের আধ্যাত্মিক সোপানে স্বচেষ্টায় আত্মার উন্নতি।
“পানিহাটি সম গ্রাম নাহি গঙ্গাতীরে। বড় বড় সমাজ সব পতাকা মন্দিরে” – পানিহাটির নাম যে শুধু জয়ানন্দের ‘চৈতন্যমঙ্গল’-এই রয়েছে তা-ই নয়, বৃন্দাবন দাসের ‘চৈতন্যভাগবত’, কৃষ্ণদাস কবিরাজের ‘চৈতন্য চরিতামৃত’ গ্রন্থেও পানিহাটির নাম পাওয়া যায়।
পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সদর শহর বালুরঘাট। বালুরঘাটে যদি কখনও বেড়াতে যাও তা হলে ২০ কিলোমিটার দূরের বল্লা কালী মন্দির দেখতে যেতে ভুলো না। বালুরঘাট থেকে মালদা পর্যন্ত যে হাইওয়ে গেছে তারই ওপর বল্লা গ্রামটি অবস্থিত। সেখানে বল্লা মা কালীর নামাঙ্কিত একটি কালী মন্দির আছে।
অতীতের বংশবাটি আজকের বাঁশবেড়িয়া। হংসেশ্বরী মন্দিরের জন্য খ্যাতি বাঁশবেড়িয়ার। তন্ত্রমতে তৈরি এই মন্দিরের ৫টি তলা মানুষের দেহের ইড়া, পিঙ্গলা, বজ্রাক্ষ, সুষুম্না ও চিত্রিণী – এই পাঁচটি নাড়ির ইঙ্গিত বহন করছে।
শৈবতীর্থ বাণেশ্বর। কোচবিহারের বিখ্যাত মন্দিরগুলির মধ্যে বাণেশ্বর শিবমন্দির অন্যতম। মন্দিরটির উত্তর দিকে অবস্থিত একটি চালামন্দির ত্রিরথ, সিংহাসনের শীর্ষে পদ্মের উপর শিবমূর্তির উপবিষ্ট বিগ্রহ ও এক অর্ধনারীশ্বরের মূর্তি অধিষ্ঠিত।
মন্দির, মসজিদ ও গির্জা -- তিন ধর্মের উপাসনাস্থলের গঠনশৈলির মিশ্রণে তৈরি এই অসাধারণ মন্দিরটি। এটি সাংস্কৃতিক বহুত্ববাদেরও একটি অনুপম নিদর্শন। মন্দিরের ভিতরে বিশাল উপাসনা কক্ষ। বেদীর উপর উপবিষ্ট শ্রীরামকৃষ্ণের শ্বেতমর্মর মূর্তি।
১৫৯৯ সালে হুগলি নদীর তীরে একটি গির্জা স্থাপিত হয়, সেটাই পশ্চিমবঙ্গের প্রথম গির্জা। এটিই ব্যান্ডেল চার্চ। এই প্রতিবেদনে ব্যান্ডেল চার্চ কে নিয়েই কিছু তথ্য রয়েছে।
মন্দিরময় মন্দিরবাজার। মন্দিরবাজার বাস মোড় থেকে অতি স্বল্প দূরত্বের পিচঢালা পথ পৌঁছে দেবে কেশবেশ্বর মন্দিরের প্রাঙ্গণে। আকার, উচ্চতা, স্থাপত্যশৈলী এবং পোড়ামাটির অলঙ্করণে এই মন্দির দক্ষিণ ২৪ পরগণার অন্যতম শ্রেষ্ঠ মন্দির।