অনিয়মিত উপস্থিতি যে শেষ পর্যন্ত বহু ক্ষেত্রেই স্কুলছুটের কারণ হয়ে দাঁড়ায় তা বহু শিক্ষকই বলেছেন।
শিক্ষক যে শিক্ষা সুনিশ্চিত করা নিয়ে চিন্তিত, এটা একটা অগ্রগতির লক্ষণ।
অভিভাবকদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন প্রাথমিক শিক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শিশুর বিদ্যালয়ে অনুপস্থিতির ক্ষেত্রে শিক্ষকরা অভিভাবকদের সচেতনতাকেই দায়ী করেছেন।
সমস্যার সমাধান শিক্ষকরা বহু ক্ষেত্রেই আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তনের মধ্যেই দেখছেন।
শিশুদের মধ্যে খুব কম শিশুই প্রাথমিক স্তরে বিদ্যালয়-ছুট হয়ে পড়ছে।
বেসরকারি বিদ্যালয়ের সংখ্যা, কাছাকাছি শিশু শিক্ষা কেন্দ্র থাকা, জন্মের হার কমা ইত্যাদি নানা সমস্যাও রয়েছে।
নিয়মিত উপস্থিতি ছাড়া যে পঠনপাঠন এগোতে পারে না, তার বাস্তব অভিজ্ঞতা রয়েছে শিক্ষকদের।
শিক্ষকের প্রণোদনার সঙ্গে পরিকাঠামোগত ব্যবস্থার একটা বড় ভূমিকা রয়েছে।
এ প্রশ্নে স্থায়ী সমাধানের পথ খোঁজা না হলে এই পরিবারের শিশুদের নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসার সম্ভাবনাটি এক প্রকার অলীক কল্পনা হয়ে থাকবে।
প্রাইভেট ভাল না খারাপ সেই বিতর্কের চেয়ে জরুরি হল সরকারি স্কুলগুলোতে যে পঠনপাঠন হওয়া উচিত সেটা নিশ্চিত করা।
শনিবারে উপস্থিত কম হওয়ার কারণ ঐ দিন মিড ডে মিল চালু না থাকা।
রয়েছে আরও সমস্যা। যেমন, রাস্তাঘাটের দুরবস্থা, স্কুল থেকে বাড়ির দূরত্ব ইত্যাদি।
শিশুদের উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য শিক্ষকরা নিজেদেরকে প্রণোদনার চরম উচ্চতায় নিয়ে যান।
শিশুভর্তির ক্ষেত্রে পশ্চিমবাংলায় সত্যিই বিরাট সাফল্য অর্জন করা গেছে, এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়।
স্কুলছুট কেন ? অনেকে শিশুশ্রম, নাবালিকা বিয়ে, দেশান্তর আর ভাষার সমস্যাকে এর জন্য দায়ী করেছেন।
শিক্ষকদের অভিজ্ঞতা থেকে উঠে এসেছে আরও কিছু সমস্যার কথা। এর মধ্যে রয়েছে শিশুশ্রম, ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকের মধ্যে ভাষার দূরত্ব এবং শিশুর অপুষ্টি।
অনুপস্থিতির প্রশ্নটি এখনও গুরুত্ব দিয়ে দেখার প্রয়োজন আছে।
বিভিন্ন পক্ষের উদ্যোগের ফলে পশ্চিমবাংলায় আজ সকল শিশু বিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছে। কিন্তু একটা অংশের বিদ্যালয়ে অনিয়মিত আসার সমস্যা এখনও আছে।